গল্প ৬৫
রাজ্য বিভক্ত হয়
তুমি কি জান, কেন এই লোক তার আংরাখা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করছেন? যিহোবা তাকে তা করার জন্য বলেছেন। এই ব্যক্তি হলেন ঈশ্বরের ভাববাদী অহিয়। তুমি কি জান, ভাববাদী মানে কী? তিনি হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যার কাছে ঈশ্বর আগেই জানিয়ে দেন যে, কী ঘটতে যাচ্ছে।
অহিয় এখানে যারবিয়ামের সঙ্গে কথা বলছেন। যারবিয়ামকে শলোমন তার কিছু নির্মাণকাজের দায়িত্ব দিয়েছেন। অহিয় যখন রাস্তায় যারবিয়ামের সঙ্গে দেখা করেন, তখন অহিয় একটা অদ্ভুত কাজ করেন। তিনি যে-নতুন আংরাখাটা পরে ছিলেন, সেটা খুলে ফেলেন এবং সেটাকে ছিঁড়ে বারো টুকরো করেন। তিনি যারবিয়ামকে বলেন: ‘তুমি নিজের জন্য দশ টুকরো নাও।’ তুমি কি জান, কেন অহিয় যারবিয়ামকে দশ টুকরো দিচ্ছেন?
অহিয় বলেন যে, যিহোবা শলোমনের কাছ থেকে রাজ্য নিয়ে নেবেন। তিনি বলেন, যিহোবা যারবিয়ামকে দশ বংশ দিয়ে দেবেন। এর মানে হল, শাসন করার জন্য শলোমনের ছেলে রহবিয়ামের কাছে শুধুমাত্র দুই বংশ অবশিষ্ট থাকবে।
যখন শলোমন শোনেন যে, অহিয় যারবিয়ামকে কী বলেছেন, তখন তিনি খুবই রেগে যান। তিনি যারবিয়ামকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু, যারবিয়াম মিশরে পালিয়ে যান। এর কিছু সময় পর, শলোমন মারা যান। তিনি চল্লিশ বছর ধরে রাজা হিসেবে ছিলেন আর এখন তার ছেলে রহবিয়ামকে রাজা করা হয়। মিশরে থাকা অবস্থায় যারবিয়াম শুনতে পান যে, শলোমন মারা গিয়েছেন আর তাই তিনি ইস্রায়েলে ফিরে আসেন।
রহবিয়াম ভালো রাজা নয়। তিনি লোকেদের সঙ্গে তার বাবা শলোমনের চেয়ে আরও খারাপভাবে আচরণ করেন। যারবিয়াম এবং আরও কয়েক জন গণ্যমান্য ব্যক্তি রাজা রহবিয়ামের কাছে গিয়ে লোকেদের সঙ্গে আরও ভালো আচরণ করার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু, রহবিয়াম তাদের কথা শোনেন না। সত্যি বলতে কী, তিনি আগের থেকে আরও খারাপভাবে আচরণ করতে শুরু করেন। তাই, লোকেরা যারবিয়ামকে দশ বংশের ওপর রাজা হিসেবে নিযুক্ত করে, কিন্তু বিন্যামীন এবং যিহূদা এই দুই বংশ রহবিয়ামকেই তাদের রাজা হিসেবে রাখে।
যারবিয়াম চান না যে, লোকেরা যিরূশালেমে যিহোবার মন্দিরে গিয়ে উপাসনা করুক। তাই, তিনি দুটো সোনার বাছুর তৈরি করেন এবং দশ বংশের রাজ্যের লোকেদেরকে দিয়ে সেগুলোর উপাসনা করান। শীঘ্রই দেশ অপরাধ ও হিংস্র কাজে ভরে ওঠে।
দুই বংশের রাজ্যেও সমস্যা দেখা দেয়। রহবিয়াম রাজা হওয়ার পর, পাঁচ বছর পার হওয়ার আগেই মিশরের রাজা যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসেন। তিনি যিহোবার মন্দির থেকে অনেক ধনসম্পদ কেড়ে নিয়ে যান। তাই, মন্দিরটা নির্মাণ করার পর যেমন অবস্থায় ছিল, খুব অল্পসময়ের জন্যই সেই অবস্থায় থাকে।