সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

খণ্ড ৭

ভাববাদীদের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা যে-প্রতিজ্ঞাগুলো করেছেন

ভাববাদীদের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা যে-প্রতিজ্ঞাগুলো করেছেন

প্রাচীনকালের ভাববাদীরা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস দেখিয়েছিল। তারা তাঁর প্রতিজ্ঞাগুলো বিশ্বাস করত এবং সেই অনুসারে জীবনযাপন করত। সেই প্রতিজ্ঞাগুলোর অন্তর্ভুক্ত কী ছিল?

আদম ও হবা এদনে বিদ্রোহ করার পর পরই ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তিনি এমন কাউকে নিযুক্ত করবেন, যিনি সেই ‘সাপের’ মস্তক পিষে ফেলবেন, যেটা ‘বিরাট দানব, [‘মহানাগ,’ পবিত্র বাইবেল, O.V.] সেই পুরানো সাপ দিয়াবল বা শয়তানকে’ চিত্রিত করে আর এভাবে তাকে চিরতরে ধ্বংস করে দেবেন। (আদিপুস্তক ৩:১৪, ১৫; প্রকাশিত বাক্য ১২:৯, ১২) কে সেই ব্যক্তি, যাঁর আগমন হবে?

প্রথম ভবিষ্যদ্‌বাণী বলার প্রায় ২,০০০ বছর পর, যিহোবা ভাববাদী অব্রাহামের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, যাঁর আগমন হবে, তিনি হবেন অব্রাহামের এক বংশধর। ঈশ্বর অব্রাহামকে বলেছিলেন: “তোমার বংশের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত জাতি আশীর্বাদ পাবে। তুমি আমার আদেশ পালন করেছ বলেই তা হবে।”—আদিপুস্তক ২২:১৮.

সাধারণ কাল পূর্ব ১৪৭৩ সালে, ঈশ্বর ভাববাদী মোশিকে ‘বংশ’ সম্বন্ধে আরও তথ্য জানিয়েছিলেন। মোশি ইস্রায়েল সন্তানদের বলেছিলেন: “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের ইস্রায়েলীয় ভাইদের মধ্য থেকেই তোমাদের জন্য আমার মত একজন নবী দাঁড় করাবেন। তাঁর কথামত তোমাদের চলতে হবে।” (দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:১৫) তাই, মোশির মতো এই নবি বা ভাববাদী অব্রাহামের সন্তানদের মধ্যে থেকে আসবেন।

এ ছাড়া, সেই ভাববাদী রাজা দায়ূদের একজন বংশধর হবেন এবং নিজেই একজন মহান রাজা হবেন। রাজা দায়ূদের কাছে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন: “আমি তোমার জায়গায় তোমার বংশের একজনকে, . . . বসাব [এবং] তার রাজ-সিংহাসন আমি চিরকাল স্থায়ী করব।” (২ শমূয়েল ৭:১২, ১৩) ঈশ্বর এও প্রকাশ করেছিলেন যে, দায়ূদের এই বংশধরকে “শান্তির রাজা” বলে ডাকা হবে এবং সেইসঙ্গে: “তাঁর শাসনক্ষমতা বৃদ্ধির ও শান্তির শেষ হবে না। তিনি দায়ূদের সিংহাসন ও তাঁর রাজ্যের উপরে রাজত্ব করবেন; তিনি সেই সময় থেকে চিরকালের জন্য ন্যায়বিচার ও সততা দিয়ে তা স্থাপন করবেন ও স্থির করবেন।” (যিশাইয় ৯:৬, ৭) হ্যাঁ, সেই ধার্মিক নেতা আবারও বিশ্বব্যাপী শান্তি ও ন্যায়বিচার নিয়ে আসবেন। কিন্তু, তিনি কখন আসবেন?

প্রতিজ্ঞাত ‘বংশ’ . . . অব্রাহামের বংশ থেকে আসবেন, মোশির মতো একজন ভাববাদী হবেন, দায়ূদের বংশধরের মধ্য থেকে আসবেন, সা.কা. ২৯ সালে আসবেন, সাপ অর্থাৎ শয়তানকে পিষে ফেলবেন

পরে একসময়, স্বর্গদূত গাব্রিয়েল ঈশ্বরের ভাববাদী দানিয়েলকে (দানিয়ালকে) বলেছিলেন: “তুমি জেনে ও বুঝে নাও যে, যিরূশালেমকে আবার মেরামত ও তৈরী করবার আদেশ বের হওয়া থেকে শুরু করে সেই মশীহের, অর্থাৎ শাসনকর্তার আসা পর্যন্ত সাত গুণ সাত বছর এবং বাষট্টি গুণ সাত বছর হবে।” (দানিয়েল ৯:২৫) এই বছরগুলো ছিল ৬৯ সপ্তাহের বছর—প্রত্যেকটা ৭ বছর করে—মোট ৪৮৩ বছর। সেটা সা.কা.পূ. ৪৫৫ সাল থেকে সা.কা. ২৯ সাল পর্যন্ত চলেছে। a

মশীহ—মোশির মতো ভাববাদী এবং দীর্ঘপ্রতীক্ষিত ‘বংশ’—কি আসলেই সা.কা. ২৯ সালে এসেছিলেন? আসুন আমরা তা দেখি।

a যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত চিরকাল জীবন উপভোগ করুন! বইয়ের ২৫৫ পৃষ্ঠায় দেওয়া টীকা ২ দখুন।