“আমি দেখলাম ঠিকই, কিন্তু বুঝতে পারলাম না।”
জীবনকাহিনি
“আমি দেখলাম ঠিকই, কিন্তু বুঝতে পারলাম না”
বলেছেন অলিভিয়ে আমেল
সময়টা ছিল ১৯৭৫ সাল, আমার বয়স তখন দুই বছর আর সেই সময়ে আমার মা প্রথম বারের মতো সন্দেহ করেন যে, আমার মধ্যে কোনো একটা অস্বাভাবিকতা রয়েছে। আমি যখন আমার মায়ের কোলে ছিলাম, তখন তার এক বান্ধবী ভারী কোনো জিনিস মাটিতে ফেলে দেয়, যার ফলে অনেক জোরে শব্দ হয়। কিন্তু মা লক্ষ করেন যে, আমি একটুও চমকে উঠিনি। আমার বয়স যখন তিন বছর, তখনও আমি কথা বলতে পারতাম না। এরপর, আমার পরিবার অত্যন্ত দুঃখজনক খবরটা শোনে—বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করে বলে, আমি পুরোপুরিভাবে বধির!
আমি যখন একেবারে ছোটো, তখন আমার বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় আর তাই আমার মাকে একাই আমাকে এবং আমার বড়ো ভাইবোনদের—দুই ভাই ও এক বোনকে—মানুষ করতে হয়েছে। সেই সময় ফ্রান্সের বধির ছেলে-মেয়েদেরকে এখনকার মতো করে শিক্ষা দেওয়া হতো না আর শিক্ষা দেওয়ার জন্য যে-উপায়গুলো ব্যবহার করা হতো, সেগুলো অনেক যন্ত্রণাদায়ক ছিল। কিন্তু তার পরও, ছেলেবেলা থেকেই আমার এমন সুবিধা ছিল, যা অনেক বধির লোকের ছিল না। সেটাই বলছি, শুনুন।
বেশ কিছু সময় ধরে, অনেক শিক্ষকই মনে করত যে, বধির ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা দিতে হলে, তাদেরকে দিয়ে কথা বলাতে হবে ও সেইসঙ্গে অন্যদের ঠোঁটের নড়াচড়া দেখে তাদের সেই কথা বুঝে নিতে হবে। আসলে, ফ্রান্সে মানে যেখানে আমি বড়ো হয়েছি, সেখানে স্কুলে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল। এমনকী ক্লাস চলাকালীন কিছু কিছু ছেলে-মেয়ের হাত পিছনে বেঁধে রাখা হতো।
প্রথম কয়েক বছর আমি একজন মহিলা বাক্চিকিৎসকের সঙ্গে সপ্তাহে কয়েক ঘন্টা করে ব্যয় করতাম। আমার চোয়াল অথবা মাথা ধরে রেখে আমাকে দিয়ে বার বার এমন শব্দগুলো উচ্চারণ করানো হতো, যেগুলো আমি নিজে শুনতে পেতাম না। আমি অন্য ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে ভাববিনিময় করতে পারতাম না। সেই বছরগুলো আমার জন্য অনেক যন্ত্রণাদায়ক ছিল।
এরপর, আমার বয়স যখন ছয় বছর, তখন আমাকে বধির ছেলে-মেয়েদের বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়। এই প্রথম, আমি অন্য বধির ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে মেলামেশা করার সুযোগ পাই। এখানেও সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ছিল। যদি আমরা ক্লাসে ইশারা ব্যবহার করতাম, তাহলে আমাদের আঙুলের গাঁটে আঘাত করা হতো কিংবা চুল ধরে টান দেওয়া হতো। কিন্তু, আমরা নিজেদের আবিষ্কৃত সংকেত ব্যবহার করে গোপনে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করতাম। অবশেষে, আমি অন্য ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে ভাববিনিময় শুরু করতে সক্ষম হই। তখন আমার জীবনের আনন্দময় চারটে বছরের সূচনা হয়।
আমার বয়স যখন ১০ বছর, তখন আমি শুনতে সক্ষম এমন ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হই। সেই সময়ে আমার মন অসম্ভব খারাপ হয়ে যায়! কারণ আমার মনে হয়েছিল, আমি ছাড়া এই পৃথিবীতে আর কোনো বধির ছেলে-মেয়ে নেই। যে-ডাক্তাররা মনে করেছিল আমাকে যে-বাক্চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে আমি তা ভুলে যেতে পারি, তাদের পরামর্শে আমার পরিবারের সদস্যরা সংকেত ব্যবহার করা শেখেনি এবং আমাকে বধির ছেলে-মেয়েদের সঙ্গেও মেলামেশা করতে দেওয়া হতো না। আমার এখনও একজন শ্রবণ বিশেষজ্ঞের কথা মনে পড়ে। তার টেবিলের ওপর একটা সাংকেতিক ভাষার বই ছিল। আমি সেই বইয়ের প্রচ্ছদের ছবি দেখে, বইটি দেখিয়ে বলি, “আমি এটা চাই!” সেই বিশেষজ্ঞ সঙ্গেসঙ্গে বইটি লুকিয়ে ফেলেন। *
আমার আধ্যাত্মিক জীবনের সূচনা
মা তার সন্তানদের অর্থাৎ আমাদেরকে খ্রিস্টীয় নীতি অনুসারে মানুষ করে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি আমাদেরকে যিহোবার সাক্ষিদের মেরিনিয়াক মণ্ডলীর সভাগুলোতে নিয়ে যেতেন, যেটা বরঅডোর কাছে ছিল। সেই ছোটো বয়সে আমি সভাতে গিয়ে খুব বেশি কিছু বুঝতাম না। তবে, মণ্ডলীর বিভিন্ন ভাইবোন পালা করে আমার পাশে বসে আমাকে নোটে লিখে দেখাত যে, কী বলা হয়েছে। আমার জন্য তাদের ভালোবাসা এবং চিন্তা আমার হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। বাড়িতে মা আমার সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করতেন, কিন্তু আমি সেই বিষয়গুলো কখনো পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারতাম না। আমার অনুভূতি কিছুটা ভাববাদী দানিয়েলের মতো ছিল, যিনি একজন স্বর্গদূতের কাছ থেকে ভাববাণী পাওয়ার পর বলেছিলেন: “আমি এই কথা শুনিলাম বটে, কিন্তু বুঝিতে পারিলাম না।” (দানিয়েল ১২:৮) আর আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা ছিল, “আমি দেখলাম ঠিকই, কিন্তু বুঝতে পারলাম না।”
তা সত্ত্বেও, বাইবেলের মৌলিক সত্য আমার মনে ধীরে ধীরে শিকড় বিস্তার করতে শুরু করেছিল। যে-বিষয়গুলো আমি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারতাম, সেগুলোকে অনেক মূল্যবান বলে গণ্য করতাম আর আমার জীবনে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতাম। আমি অন্যদের আচরণ ভালোমতো লক্ষ করেও শিক্ষা নিতাম। উদাহরণস্বরূপ, বাইবেল আমাদেরকে দীর্ঘসহিষ্ণু বা ধৈর্যশীল হতে বলে। (যাকোব ৫:৭, ৮) আমি আসলে সেই কথার অর্থ বুঝতে পারতাম না। কিন্তু, সহবিশ্বাসীরা যখন তাদের আচরণে এই গুণ দেখাত, তখন আমি বুঝতে পারি ধৈর্য আসলে কী। সত্যিকার অর্থে, খ্রিস্টীয় মণ্ডলী থেকে আমি প্রচুর উপকার লাভ করতে পেরেছি।
নিদারুণ হতাশা ও অপূর্ব অপ্রত্যাশিত বিষয়
কিশোর বয়সে, একদিন আমি কয়েক জন বধির অল্পবয়সিকে রাস্তায় একে অন্যের সঙ্গে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করতে দেখি। আমি গোপনে তাদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করি এবং ফ্রেঞ্চ সাংকেতিক ভাষা শিখতে থাকি। আমি খ্রিস্টীয় সভাতেও যোগদান করতে থাকি, সেখানে স্টেফান নামে একজন যুবক সাক্ষি আমার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেন। তিনি আমার সঙ্গে ভাববিনিময় করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করতেন আর আমারও তাকে অনেক কাছের মানুষ বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু, আমার জন্য এক নিদারুণ হতাশা অপেক্ষা করছিল। খ্রিস্টীয় নিরপেক্ষতা বজায় রাখার কারণে স্টেফান কারারুদ্ধ হয়েছিলেন। আমি একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম। স্টেফান কারাগারে থাকার সময়, আমি ভীষণ নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ি আর সভাতে যাওয়া প্রায় বন্ধই করে দিই।
এগারো মাস পর, স্টেফান ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। স্টেফান ফিরে এসে যখন আমার সঙ্গে সাংকেতিক ভাষায় ভাববিনিময় করতে শুরু করেন, তখন আমি কতটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, তা একটু ভেবে দেখুন। আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না! কী হয়েছিল? কারাগারে আটক থাকার সময় স্টেফান ফ্রেঞ্চ সাংকেতিক ভাষা শেখেন। আমি স্টেফানের হাতের নড়াচড়া এবং মৌখিক অভিব্যক্তি দেখি আর সেগুলো মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করার পর যখন বুঝতে পারি আমার জন্য সেগুলোর অর্থ কী, তখন আমার আনন্দের অনুভূতি বেড়ে যেতে থাকে।
অবশেষে বাইবেলের সত্য বোঝা
স্টেফান আমার সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করেন। সেই সময় আমি আগে বাইবেলের সত্যের যে-ছোটো ছোটো অংশ শিখেছি, সেগুলোকে জোড়া লাগাতে শুরু করি। ছোটো বেলায়, আমাদের বাইবেল সাহিত্যাদির মধ্যে দেওয়া সুন্দর ছবিগুলো দেখতে আমার অনেক ভালো লাগত, আমি ছবিতে থাকা চরিত্রগুলোর সাদৃশ্য অথবা বৈসাদৃশ্য তুলনা করতাম আর প্রতিটা খুঁটিনাটি বিষয় পরীক্ষা করতাম, যাতে গল্পগুলো মনে রাখতে পারি। আমি অব্রাহাম, তার “বংশ” এবং “বিস্তর লোক” সম্বন্ধে জানতাম, কিন্তু এই ধারণাগুলো তখনই আমার কাছে আরও অর্থপূর্ণ হয়ে উঠেছিল, যখন সেগুলোকে সাংকেতিক ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। (আদিপুস্তক ২২:১৫-১৮; প্রকাশিত বাক্য ৭:৯) তাই স্পষ্টতই বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমি আমার সত্যিকারের ভাষা, আমার হৃদয়ের ভাষা, খুঁজে পেয়েছি।
যেহেতু তখন সভাতে যা বলা হতো, তা আমি বুঝতে পারতাম, তাই সেগুলো আমার হৃদয়কে নাড়া দিয়েছিল আর জ্ঞানের প্রতি আমার তৃষ্ণা আরও বেড়ে গিয়েছিল। স্টেফানের সাহায্যে বাইবেলের প্রতি আমার বোধগম্যতা বাড়তেই থাকে এবং ১৯৯২ সালে আমি আমার জীবনকে যিহোবা ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করি ও বাপ্তিস্ম নিই। কিন্তু উন্নতি করা সত্ত্বেও, ছেলেবেলায় অন্যদের সঙ্গে বেশি ভাববিনিময় করার সুযোগ পাইনি বলে আমি বেশ চাপা স্বভাবের ও সাবধানী হয়ে উঠি।
আমার লাজুক স্বভাবের বিরুদ্ধে লড়াই
ধীরে ধীরে, আমি বধির লোকেদের যে-ছোটো দলে ছিলাম, সেটা বরঅডোরের উপকণ্ঠে অবস্থিত পেসাকের একটা মণ্ডলীর সঙ্গে
যুক্ত হয়। এতে অনেক সাহায্য হয় আর আমি আধ্যাত্মিকভাবে উন্নতি করতে থাকি। যদিও আমি আমার ভাববিনিময়ের সীমিত দক্ষতা নিয়ে লড়াই করছিলাম, কিন্তু আমার বন্ধুরা যারা শুনতে সক্ষম, তারা এই ব্যাপারে সতর্ক থাকত যেন আমি সবকিছু বুঝতে পারি। ঝেল ও এলোডি নামে এক দম্পতি আমার সঙ্গে ভাববিনিময় করার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা করত। তারা প্রায়ই সভার পরে আমাকে তাদের সঙ্গে খাবার অথবা এক কাপ কফি খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাত আর এভাবে আমাদের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। ঈশ্বরের প্রেমময় পথ অনুসরণ করে এমন লোকেদের মাঝে থাকা কতই না আনন্দের বিষয়!এই মণ্ডলীতেই সুন্দরী ভেনেসার সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমি তার সহানুভূতি ও বিচারবুদ্ধি দেখে তার প্রতি আকৃষ্ট হই। সে আমার বধিরতাকে কখনোই এক বাধা হিসেবে দেখেনি, বরং এটাকে বধিরদের সঙ্গে ভাববিনিময় করতে শেখার দারুণ এক সুযোগ হিসেবে দেখেছিল। সে আমার হৃদয় জয় করে নেয় আর আমরা ২০০৫ সালে বিয়ে করি। যদিও আমি খুব ভালো ভাববিনিময় করতে পারতাম না, কিন্তু ভেনেসা আমাকে আমার লাজুক স্বভাব কাটিয়ে উঠে নিজের অনুভূতি আরও খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছিল। আমার দায়িত্বগুলো সম্পন্ন করার সময়ে আমি তার সাহায্য সত্যিই উপলব্ধি করি।
যিহোবার কাছ থেকে আরেকটা উপহার
যে-বছর আমরা বিয়ে করি, সেই বছর আমাকে এক মাসের জন্য ফ্রান্সের লুভিয়ার্সে যিহোবার সাক্ষিদের শাখা অফিসে অনুবাদ কাজের প্রশিক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই শাখা অফিস ডিভিডি-তে ফ্রেঞ্চ সাংকেতিক ভাষায় বিভিন্ন সাহিত্য তৈরি করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। কিন্তু, সামনে আরও কাজ রয়েছে আর এর জন্য অনুবাদক দলে আরও ভাইবোন প্রয়োজন।
ভেনেসা এবং আমি দুজনেই অনুভব করেছিলাম যে, শাখা অফিসে কাজ করতে পারাটা আমাদের জন্য অনেক বড়ো এক সুযোগ এবং যিহোবার কাছ থেকে এক উপহার, তবে আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে, আমরা ভয় পেয়েছিলাম। আমাদের সাংকেতিক ভাষার দলের কী হবে? আমাদের বাড়িঘরের কী হবে? সেই জায়গায় ভেনেসার জন্য কি কোনো কাজ থাকবে? যিহোবা চমৎকার উপায়ে প্রতিটা সমস্যা সমাধান করে দিয়েছিলেন। আমি সত্যি সত্যিই আমাদের জন্য এবং বধির লোকেদের জন্য যিহোবার প্রেম অনুভব করতে পেরেছিলাম।
একতাবদ্ধ লোকেদের মাধ্যমে সমর্থন লাভ করা
অনুবাদ কাজে জড়িত ছিলাম বলে, আমি বধির লোকেদের আধ্যাত্মিক সাহায্যের জন্য যা যা প্রস্তুত করা হয়, সেগুলোর সমস্তই আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি। আর আমার সহকর্মীরা যখন আমার সঙ্গে ভাববিনিময় করার চেষ্টা করে, তখন সেটা দেখে আমার অনেক আনন্দ লাগে! তারা যে-অল্প কয়েকটা সংকেত শেখে, সেগুলোর মাধ্যমেই আমার হৃদয়কে স্পর্শ করার চেষ্টা করে। আমি পরিত্যক্ত বোধ করি না—বরং উলটোটাই মনে হয়। সেইসমস্ত প্রেমপূর্ণ অভিব্যক্তি, যিহোবার লোকদের মধ্যে যে-অসাধারণ একতা রয়েছে, সেটার এক প্রমাণ।—গীতসংহিতা ১৩৩:১.
আমি যিহোবার প্রতি কৃতজ্ঞ যে, তিনি খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর মধ্যে সবসময়ই কারো না করো মাধ্যমে আমাকে সাহায্য করেছেন। এ ছাড়া, প্রেমময় সৃষ্টিকর্তাকে জানার এবং তাঁর নিকটবর্তী হওয়ার জন্য আমার মতো বধির ব্যক্তিদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে আমার যে-ক্ষুদ্র ভূমিকা রয়েছে, সেটাকেও আমি উপলব্ধি করি। আমি সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করে আছি, যখন ভাববিনিময় করার সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে এবং সকলে একতাবদ্ধ মানব পরিবার হিসেবে “বিশুদ্ধ ওষ্ঠ” বা ভাষা—যিহোবা এবং তাঁর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে সত্য—ব্যবহার করবে।—সফনিয় ৩:৯. ▪ (w১৩-E ০৩/০১)
[পাদটীকা]
^ ফ্রান্সের সরকার, ১৯৯১ সালের আগে পর্যন্ত বধির ছেলে-মেয়েদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করার অনুমোদন দেয়নি।
[১৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
যখন আমার বয়স প্রায় পাঁচ বছর
[১৪ পৃষ্ঠার চিত্র]
স্টেফান আমাকে বাইবেল বুঝতে সাহায্য করেন
[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
আমার স্ত্রী ভেনেসা, আমার জন্য সত্যিকারের এক সাহায্য
[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
ফ্রেঞ্চ সাংকেতিক ভাষায় বাইবেলভিত্তিক বক্তৃতা দিচ্ছি
[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
শাখা অফিসের অনুবাদক বিভাগে কাজ করছি