আপনি কি ঈশ্বরের পরিচালনার প্রমাণ উপলব্ধি করতে পারেন?
আপনি কি ঈশ্বরের পরিচালনার প্রমাণ উপলব্ধি করতে পারেন?
ইস্রায়েলীয় বা মিশরীয়, কেউই আগে কখনো এইরকম বিষয় দেখেনি। ইস্রায়েলীয়রা যখন মিশর থেকে তাদের যাত্রা শুরু করেছিল, তখন একটা মেঘস্তম্ভ সর্বক্ষণ তাদের ওপর অবস্থান করেছিল। আর রাতে সেটা অগ্নিস্তম্ভ হয়ে যেত। কী এক বিস্ময়কর ঘটনা! কিন্তু, এটা কোথা থেকে এসেছিল? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? আর ইস্রায়েলীয়রা ‘অগ্নি ও মেঘস্তম্ভকে’ যেভাবে দেখেছিল, সেটা থেকে প্রায় ৩,৫০০ বছর পরে এসে আমরা কী শিখতে পারি?—যাত্রা. ১৪:২৪.
ঈশ্বরের বাক্য এই স্তম্ভের উৎস এবং এর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে এই বলে প্রকাশ করে: “সদাপ্রভু দিবাতে পথ দেখাইবার জন্য মেঘস্তম্ভে থাকিয়া, এবং রাত্রিতে দীপ্তি দিবার জন্য অগ্নিস্তম্ভে থাকিয়া তাহাদের অগ্রে অগ্রে গমন করিতেন, যেন তাহারা দিবারাত্র গমন করিতে পারে।” (যাত্রা. ১৩:২১, ২২) যিহোবা ঈশ্বর তাঁর লোকেদেরকে মিশর থেকে বের হয়ে আসার সময় এবং প্রান্তরে থাকাকালীন পরিচালনা দেওয়ার জন্য সেই অগ্নি ও মেঘের স্তম্ভটা ব্যবহার করেছিলেন। সেটাকে অনুসরণ করে যাত্রা করার জন্য তাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হতো। পিছন পিছন আসা মিশরীয়বাহিনী যখন ঈশ্বরের লোকদের প্রায় আক্রমণ করতে যাচ্ছিল, তখন ইস্রায়েলীয়দের রক্ষা করার জন্য স্তম্ভটা দুই দলের মধ্যে সরে এসেছিল। (যাত্রা. ১৪:১৯, ২০) যদিও এই স্তম্ভ সবচেয়ে সরাসরি পথকে নির্দেশ করেনি, কিন্তু ইস্রায়েলীয়দের প্রতিজ্ঞাত দেশে প্রবেশ করার জন্য এটাকে অনুসরণ করাই ছিল একমাত্র উপায়।
সেই স্তম্ভের উপস্থিতি ঈশ্বরের লোকেদের এই আশ্বাস দিয়েছিল যে, যিহোবা তাদের সঙ্গে সঙ্গে আছেন। এটা যিহোবাকে প্রতিনিধিত্ব করত এবং তিনি মাঝে মাঝে এর মধ্য থেকে কথা বলতেন। (গণনা. ১৪:১৪; গীত. ৯৯:৭) অধিকন্তু, এই মেঘ সেই জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে মোশিকে যিহোবার নিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে শনাক্ত করেছিল। (যাত্রা. ৩৩:৯) একইভাবে, মেঘস্তম্ভের উপস্থিতি সম্বন্ধে লিপিবদ্ধ সর্বশেষ বিবরণ এই বিষয়টা নিশ্চিত করেছিল যে, যিহোবা মোশির উত্তরসূরী হিসেবে যিহোশূয়কে নিযুক্ত করেছেন। (দ্বিতীয়. ৩১:১৪, ১৫) সত্যি বলতে কী, ইস্রায়েলীয়দের সেই যাত্রার সফলতা, ঈশ্বরের পরিচালনার প্রমাণ উপলব্ধি করা ও তা অনুসরণ করার ওপর নির্ভর করেছিল।
তারা প্রমাণ সম্বন্ধে ভুলে গিয়েছিল
ইস্রায়েলীয়রা যখন প্রথম সেই স্তম্ভ দেখেছিল, তখন তারা নিশ্চয়ই একেবারে বিস্ময়াভিভূত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, দুঃখের বিষয় হল, ক্রমাগত এই অলৌকিক উপস্থিতি ইস্রায়েলীয়দেরকে যিহোবার ওপর আস্থা রাখার ব্যাপারে প্রভাবিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। তারা বেশ কয়েক বার ঈশ্বরের পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। মিশরীয় সৈন্যবাহিনী যখন তাদের পিছু ধাওয়া করেছিল, তখন তারা যিহোবার রক্ষা করার ক্ষমতার ওপর নির্ভরতা দেখায়নি। এর পরিবর্তে, তারা ঈশ্বরের দাস মোশির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিল যে, তিনি তাদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন। (যাত্রা. ১৪:১০-১২) সূফসাগরের মধ্যে থেকে উদ্ধার লাভ করার পর, ইস্রায়েলীয়রা খাদ্য ও জলের অভাব হবে বলে অনুমান করে মোশি, হারোণ এবং যিহোবার বিরুদ্ধে বচসা করেছিল। (যাত্রা. ১৫:২২-২৪; ১৬:১-৩; ১৭:১-৩, ৭) আর এর কিছু সপ্তাহ পরেই তারা হারোণকে একটা সোনার বাছুর তৈরি করার জন্য চাপ দিয়েছিল। একটু কল্পনা করুন! ইস্রায়েলীয়রা তাদের শিবিরের এক দিকে সেই অগ্নি ও মেঘস্তম্ভটা দেখতে পাচ্ছিল, যেটা সেই ব্যক্তির উপস্থিতির চমৎকার প্রমাণ, যিনি তাদেরকে মিশর থেকে বের হয়ে আসার জন্য পরিচালনা দিয়েছিলেন আর অন্যদিকে সেখান থেকে সামান্য দূরেই তারা এই বলে নিষ্প্রাণ প্রতিমাকে উপাসনা করতে শুরু করেছিল: “এই তোমার দেবতা, যিনি মিসর হইতে তোমাকে বাহির করিয়া আনিয়াছেন।” কী এক “মহা অসন্তোষকর কার্য্য”!—যাত্রা. ৩২:৪; নহি. ৯:১৮.
ইস্রায়েলীয়দের বিদ্রোহী কাজগুলো যিহোবার পরিচালনার প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করেছিল। সমস্যাটা তাদের গীত. ৭৮:৪০-৪২, ৫২-৫৪; নহি. ৯:১৯.
আক্ষরিক দৃষ্টিশক্তির মধ্যে নয় বরং আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে ছিল। তারা স্তম্ভ দেখেছিল ঠিকই কিন্তু এর তাৎপর্যের প্রতি আর উপলব্ধি দেখায়নি। যদিও তাদের কাজ ‘ইস্রায়েলের পবিত্রতমকে অসন্তুষ্ট করিয়াছিল,’ তবুও যিহোবা করুণার সঙ্গে সেই স্তম্ভের মাধ্যমে ততক্ষণ পর্যন্ত পরিচালনা দিয়ে গিয়েছিলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা প্রতিজ্ঞাত দেশে গিয়ে পৌঁছেছিল।—বর্তমানে ঐশিক পরিচালনার প্রমাণ উপলব্ধি করুন
একইভাবে, আধুনিক দিনেও যিহোবা সবসময় তাঁর লোকেদের স্পষ্ট পরিচালনা দেন। ঠিক যেমন ঈশ্বর চাননি যে, ইস্রায়েলীয়রা নিজেরাই নিজেদের যাত্রার পথ খুঁজে বের করুক, তেমনই বর্তমানেও তিনি আমাদেরকে প্রতিজ্ঞাত নতুন জগতে প্রবেশ করার জন্য নিজেদের পথ নিজেদেরই খুঁজে নিতে বলেননি। যিশু খ্রিস্ট হলেন মণ্ডলীর নিযুক্ত নেতা। (মথি ২৩:১০; ইফি. ৫:২৩) তিনি আত্মায় অভিষিক্ত বিশ্বস্ত খ্রিস্টানদের নিয়ে গঠিত এক বিশ্বস্ত দাস শ্রেণীকে কিছুটা কর্তৃত্ব দিয়েছেন। এর ফলে, সেই দাস শ্রেণী খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে অধ্যক্ষদের নিযুক্ত করে থাকে।—মথি ২৪:৪৫-৪৭; তীত. ১:৫-৯.
কীভাবে আমরা সেই বিশ্বস্ত দাস বা গৃহাধ্যক্ষ শ্রেণীর পরিচয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে পারি? লক্ষ করুন যে, স্বয়ং যিশু এই শ্রেণী সম্বন্ধে কীভাবে বর্ণনা করেছিলেন: “সেই বিশ্বস্ত, সেই বুদ্ধিমান্ গৃহাধ্যক্ষ কে, যাহাকে তাহার প্রভু নিজ পরিজনদের উপরে নিযুক্ত করিবেন, যেন সে তাহাদিগকে উপযুক্ত সময়ে খাদ্যের নিরূপিত অংশ দেয়? ধন্য সেই দাস, যাহাকে তাহার প্রভু আসিয়া সেইরূপ করিতে দেখিবেন।”—লূক ১২:৪২, ৪৩.
যেহেতু গৃহাধ্যক্ষ শ্রেণী “বিশ্বস্ত,” তাই তারা কখনোই যিহোবা, যিশু, বাইবেলের সত্য অথবা ঈশ্বরের লোকেদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে না কিংবা তাদের পরিত্যাগ করে না। “বুদ্ধিমান্” হওয়ায়, গৃহাধ্যক্ষ শ্রেণী ‘রাজ্যের সুসমাচার’ প্রচার করার এবং ‘সমুদয় জাতিকে শিষ্য করিবার’ মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজে নির্দেশনা দেওয়ার সময় উত্তম বিচারবুদ্ধি দেখায়। (মথি ২৪:১৪; ২৮:১৯, ২০) গৃহাধ্যক্ষ শ্রেণী “উপযুক্ত সময়ে” বাধ্যতার সঙ্গে গঠনমূলক এবং পুষ্টিকর আধ্যাত্মিক খাদ্য বিতরণ করে। যিহোবা তাঁর লোকেদের বৃদ্ধি দিয়ে, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর ক্ষেত্রে পরিচালনা দিয়ে, বাইবেলের সত্যগুলো ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করে, তাদের শত্রুদের দ্বারা নিশ্চিহ্ন হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং মন ও হৃদয়ের শান্তি প্রদান করে যেভাবে আশীর্বাদ করেন, তাতে বিশ্বস্ত দাস শ্রেণীর প্রতি তাঁর অনুমোদন দেখা যায়।—যিশা. ৫৪:১৭, ফিলি. ৪:৭.
ঈশ্বরের পরিচালনার প্রতি সাড়া দিন
কীভাবে আমরা দেখাতে পারি যে, ঈশ্বরের পরিচালনাকে আমরা মূল্যবান বলে গণ্য করি? প্রেরিত পৌল বলেছিলেন: “তোমরা তোমাদের নেতাদিগের আজ্ঞাগ্রাহী ও বশীভূত হও।” (ইব্রীয় ১৩:১৭) সবসময় তা করা সহজ না-ও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: নিজেকে মোশির সময়ের একজন ইস্রায়েলীয়ের স্থানে বসান। কল্পনা করুন যে, কয়েক দিন হাঁটার পর স্তম্ভটা থেমে যায়। সেটা সেখানে কত দিন থাকবে? এক দিন? এক সপ্তাহ? কয়েক মাস? আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, ‘আমার সমস্ত জিনিসপত্র বের করা কি ঠিক হবে?’ প্রথমে, আপনি হয়তো কেবল সবচেয়ে দরকারি জিনিসপত্র বের করেন। তবে, কয়েক দিন পর, আপনি আপনার জিনিসপত্র খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে গিয়ে সবকিছু বের করে ফেলতে শুরু করেন। কিন্তু তার পর, আপনি যখন প্রায় সমস্ত জিনিসই বের করে ফেলেন, তখন স্তম্ভটাকে ওপরে উঠতে দেখেন—আর আপনাকে আবারও সবকিছু গোছগাছ করা শুরু করতে হয়! এটা খুব সহজ বা সুবিধাজনক হতো না। তা সত্ত্বেও, ইস্রায়েলীয়দের “তখন” বা অবিলম্বেই ‘যাত্রা করিতে’ হতো।—গণনা. ৯:১৭-২২.
তাহলে, আমরা যখন ঐশিক নির্দেশনা লাভ করি, তখন কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাই? আমরা কি “তখন” বা অবিলম্বেই তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করি? নাকি আমরা বিভিন্ন বিষয় যেভাবে করতে অভ্যস্ত, সেভাবেই করে চলি? আমরা কি চলতি নির্দেশনাগুলো সম্বন্ধে, যেমন গৃহ বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করা, বিদেশিভাষী লোকেদের কাছে প্রচার করা, নিয়মিতভাবে পারিবারিক উপাসনায় অংশ নেওয়া, হসপিটাল লিয়েইজন কমিটি-র সঙ্গে সহযোগিতা করা এবং সম্মেলনগুলোতে সঠিকভাবে আচরণ করা সম্বন্ধে জানি? এ ছাড়া, পরামর্শ গ্রহণ করার মাধ্যমে আমরা দেখাই যে, ঈশ্বরের পরিচালনাকে আমরা মূল্যবান বলে গণ্য করি। আমাদের যখন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিতে হয়, তখন আমরা নিজেদের প্রজ্ঞার ওপর নির্ভর না করে বরং পরিচালনার জন্য যিহোবা ও
তাঁর সংগঠনের ওপর নির্ভর করি। আর প্রচণ্ড ঝড়ের সময় একটা ছোটো সন্তান যেমন তার বাবা-মায়ের কাছে সুরক্ষা খোঁজে, তেমনই আমরা যিহোবার সংগঠনে সুরক্ষা খুঁজি, যখন এই জগতের সমস্যাগুলো বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের মতো আমাদের ওপর আঘাত হানে।অবশ্য, যারা ঈশ্বরের সংগঠনের পার্থিব অংশে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে, তারা সিদ্ধ নয়—যেমনটা মোশিও ছিলেন না। তা সত্ত্বেও, সেই স্তম্ভ ক্রমাগত এই প্রমাণ জুগিয়েছিল যে, তাকে ঐশিকভাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল এবং তার ওপর ঈশ্বরের অনুমোদন ছিল। এ ছাড়া, এও লক্ষ করুন যে, কখন যাত্রা শুরু করবে, তা প্রত্যেক ইস্রায়েলীয় আলাদাভাবে নির্ধারণ করত না। এর পরিবর্তে, লোকেরা “মোশির দ্বারা দত্ত সদাপ্রভুর আজ্ঞানুসারে” কাজ করত। (গণনা. ৯:২৩) এভাবে, মোশি যাত্রা করার ইঙ্গিত প্রদান করতেন, যে-ব্যক্তির মাধ্যমে ঈশ্বর নির্দেশনা দিতেন।
বর্তমানে, যিহোবার গৃহাধ্যক্ষ শ্রেণী যখনই যাত্রা শুরু করার সময় হয়, তখন স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়। সেই গৃহাধ্যক্ষ কীভাবে নির্দেশনা দেন? প্রহরীদুর্গ পত্রিকার বিভিন্ন প্রবন্ধ এবং আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা, নতুন প্রকাশনা ও সেইসঙ্গে সম্মেলনের বক্তৃতাগুলোর মাধ্যমে। এ ছাড়া, ভ্রমণ অধ্যক্ষ অথবা বিভিন্ন চিঠি কিংবা মণ্ডলীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাগুলোর মাধ্যমেও মণ্ডলীগুলোকে নির্দেশনা জানানো হয়ে থাকে।
আপনি কি ঐশিক পরিচালনার প্রমাণ স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে পারেন? আমাদেরকে অর্থাৎ তাঁর লোকেদেরকে এই শেষকালে শয়তানের দুষ্ট জগতের ‘প্রান্তরের’ মধ্যে পরিচালনা দেওয়ার জন্য যিহোবা তাঁর সংগঠনকে ব্যবহার করেন। এর ফলে আমরা একতা, প্রেম এবং নিরাপত্তা উপভোগ করি।
ইস্রায়েলীরা যখন প্রতিজ্ঞাত দেশে পৌঁছেছিল, তখন যিহোশূয় বলেছিলেন: “তোমরা সমস্ত অন্তঃকরণে ও সমস্ত প্রাণে ইহা জ্ঞাত হও যে, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে যত মঙ্গলবাক্য বলিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে একটীও বিফল হয় নাই; তোমাদের পক্ষে সকলই সফল হইয়াছে।” (যিহো. ২৩:১৪) একইভাবে, বর্তমানে ঈশ্বরের লোকেরা নিশ্চিতভাবেই প্রতিজ্ঞাত নতুন জগতে পৌঁছাবে। কিন্তু, আমরা ব্যক্তিগভাবে সেখানে থাকব কী থাকব না, তা ঈশ্বরের নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য নম্রভাবে ইচ্ছুক হওয়ার মনোভাবের ওপর অনেকখানি নির্ভর করে। তাই, আসুন আমরা সবাই যিহোবার পরিচালনার প্রমাণের প্রতি উপলব্ধি দেখিয়ে চলি!
[৫ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]
আজকে আমরা যিহোবার সংগঠনের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছি
সম্মেলনে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনা
ঈশতান্ত্রিক প্রশিক্ষণ
পরিচর্যা সভাতে প্রশিক্ষণ