বড়দিন কোন দিকে মোড় নিচ্ছে?
বড়দিন কোন দিকে মোড় নিচ্ছে?
দশ বছর আগে এই মাসে ইউ.এস.নিউজ আ্যন্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট, “বড়দিনের সন্ধানে” শিরোনামের প্রচ্ছদ কাহিনী প্রকাশ করেছিল। বড়দিন “আরও পবিত্র ও কম বাণিজ্যিক” হয়ে উঠছে কি না, সেই বিষয়ে প্রবন্ধটি আলোচনা করেছিল। কিন্তু, আসলেই কি তা ঘটছে?
কেন আমাদের তা আশা করা উচিত নয়, সেই কারণগুলোর ওপর প্রবন্ধটি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছিল। এটি উল্লেখ করেছিল: “চতুর্থ শতাব্দীতে যখন কনস্ট্যানটিন . . . রোমের সম্রাট ছিলেন, তার আগে পর্যন্ত খ্রিস্টের জন্মোৎসব পালনের কোনো সরকারি নথি নেই।” সেটা ‘কিছুটা হলেও এই সত্যকে’ প্রতিফলিত করেছিল যে, ‘যিশুর জন্ম কখন হয়েছিল, তা কেউই নিশ্চিতভাবে জানে না।’ প্রবন্ধটি স্বীকার করেছিল যে, “সুসমাচারের বইগুলো বছর সম্বন্ধেই কিছু জানায় না আর সঠিক মাস বা দিন তো দূরের কথা।” টেক্সাস ইউনিভারসিটির একজন ইতিহাসবেত্তার মতে, “যিশুর জন্ম উদ্যাপনের ব্যাপারে প্রাথমিক খ্রিস্টানদের কোনো আগ্রহই ছিল না।”
“অনুমানের বিষয়” উপশিরোনামের অধীনে প্রবন্ধটি “গির্জা যেভাবে ২৫শে ডিসেম্বরকে বেছে নিয়েছিল,” সেই বিষয়ে আলোচনা করেছিল। এটি স্বীকার করেছিল: “সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ধারণাটা হল, সেই ছুটির দিনটা ছিল স্যাটারনালিয়া ও অন্যান্য পৌত্তলিক উৎসবগুলোর এক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘খ্রিস্টীয়করণ।’” “ডিসেম্বরের শেষের দিকে, যে-সময়ে লোকেরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উৎসব উদ্যাপনে অভ্যস্ত ছিল, সেই সময়ে বড়দিন নির্ধারণ করার মাধ্যমে গির্জার নেতারা পরিত্রাতার জন্মোৎসব ব্যাপকভাবে পালনের বিষয়টাকে নিশ্চিত করেছিল।” ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে তা পরিবর্তিত হয়ে উপহার কেনার ও দেওয়ার ওপর গুরুত্ব প্রদান করেছিল। “বড়দিনে উপহার দেওয়ার এই নতুন প্রথা খুব দ্রুত ধন লাভের এক উৎস হয়ে উঠেছিল এবং ব্যবসায়ী ও বিজ্ঞাপনদাতারা শীঘ্রই সেই মরসুমের বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করেছিল।”
তাই, বড়দিন শুদ্ধ খ্রিস্টধর্ম থেকে দূরে সরে গিয়ে অন্য কোনো দিকে মোড় নেবে না এমনটা আশা করার কোনো কারণই নেই। যদিও আধুনিক সময়ের বড়দিন “জমকালো ব্যবসায়িক মনোভাবে” পরিপূর্ণ কিন্তু আসল বিষয়টা হল, সত্য খ্রিস্টানরা কখনোই যিশুর জন্মোৎসব উদ্যাপন করার আশা করেনি। এর পরিবর্তে, বাইবেল সেই মুক্তির মূল্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে, যা যিশু তাঁর মৃত্যু ও স্বর্গে পুনরুত্থানের মাধ্যমে জুগিয়েছিলেন। (মথি ২০:২৮) সেটাই আসন্ন সবসময় জুড়ে গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য থাকবে।