স্বর্গদূতেরা তারা কারা
স্বর্গদূতেরা তারা কারা
শক্তিশালী সাম্রাজ্যের একজন রাজা তার নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। তিন জন ব্যক্তিকে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা সত্ত্বেও, তারা মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পেয়েছে! কে তাদের রক্ষা করেছে? এভাবে উদ্ধারপ্রাপ্ত এই তিন জন ব্যক্তিকে স্বয়ং রাজা বলেন: “ধন্য [তোমাদের ঈশ্বর], তিনি আপন দূত প্রেরণ করিয়া, তাঁহার সেই দাসদিগকে উদ্ধার করিলেন, যাহারা তাহাতে বিশ্বাস করিয়াছে।” (দানিয়েল ৩:২৮) দুহাজার বছরেরও বেশি সময় আগের এই বাবিলীয় শাসক, স্বর্গদূতদের দ্বারা উদ্ধারকৃত একটা ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষি হয়েছিলেন। অতীতের লক্ষ লক্ষ লোক স্বর্গদূতে বিশ্বাস করত। আজকে, অনেকে কেবল স্বর্গদূত আছে বলেই যে বিশ্বাস করে তা নয় কিন্তু সেইসঙ্গে তারা এও মনে করে যে, তাদের জীবন কোনো না কোনোভাবে স্বর্গদূতের দ্বারা প্রভাবিত। স্বর্গদূতেরা কারা এবং তাদের উৎস কী?
বাইবেল অনুসারে স্বর্গদূতেরা হল বায়ু বা আত্মা, ঠিক যেমন ঈশ্বর নিজে আত্মা। (গীতসংহিতা ১০৪:৪; যোহন ৪:২৪) স্বর্গদূত পরিবার হল এক বিরাট পরিবার, যাদের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ। (প্রকাশিত বাক্য ৫:১১) আর তারা সকলে “বলে বীর।” (গীতসংহিতা ১০৩:২০) যদিও স্বর্গদূতদের মানুষের মতো ব্যক্তিত্ব এবং স্বাধীন ইচ্ছা রয়েছে কিন্তু তারা মানুষের মতো তাদের জীবন শুরু করেনি। বস্তুতপক্ষে, মানুষের জন্মের অনেক আগে—এমনকি পৃথিবী গ্রহের সৃষ্টির আগে—ঈশ্বর স্বর্গদূতদের সৃষ্টি করেছিলেন। ঈশ্বর যখন ‘পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছিলেন,’ বাইবেল বলে, তখন ‘প্রভাতীয় নক্ষত্রগণ [স্বর্গদূতগণ] একসঙ্গে আনন্দরব করিয়াছিল, ঈশ্বরের পুত্ত্রগণ সকলে জয়ধ্বনি করিয়াছিল।’ (ইয়োব ৩৮:৪, ৭) যেহেতু স্বর্গদূতেরা হল ঈশ্বরের সৃষ্টি, তাই তাদেরকে ঈশ্বরের পুত্র বলা হয়।
কোন উদ্দেশ্যে ঈশ্বর স্বর্গদূতদের সৃষ্টি করেছেন? মানব ইতিহাসে স্বর্গদূতেরা যদি কোনো ভূমিকা পালন করেই থাকে, তা হলে সেটা কী? আজকে কি তারা আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে? যেহেতু তারা নৈতিক দিক দিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি, তাই কোনো স্বর্গদূত কি শয়তান দিয়াবলের পথ অনুসরণ করে নিজেকে ঈশ্বরের শত্রুতে পরিণত করেছে? বাইবেল এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দেয়।