সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

প্রেমপূর্ণ-দয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

প্রেমপূর্ণ-দয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

প্রেমপূর্ণ-দয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

 বাইবেল বলে, “দয়াতেই [“প্রেমপূর্ণ-দয়া,” NW] মনুষ্যকে বাঞ্ছনীয় করে।” (হিতোপদেশ ১৯:২২) সত্যিই, প্রেমের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে দয়ার কাজগুলো করা হল বাঞ্ছনীয়। কিন্তু, বাইবেলে “প্রেমপূর্ণ-দয়া” শব্দটা এমন দয়াকে নির্দেশ করে, যা ইতিমধ্যেই সম্পর্ক রয়েছে এমন ভিত্তিতে দেখানো হয়ে থাকে, যেমন কেউ হয়তো পূর্বে দয়া দেখিয়েছে সেইরকম ক্ষেত্রে। তাই এটার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আনুগত্যপূর্ণ চিন্তা।

যিহূদার রাজা যোয়াশ এই বাঞ্ছনীয় গুণকে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তিনি তার পিসিমা এবং পিসেমশাই যিহোয়াদার প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখানোর জন্য প্রচুর ঋণী ছিলেন। যোয়াশের বয়স যখন এক বছরও হয়নি, তখন তার দুষ্ট ঠাকুমা নিজেকে রানি ঘোষণা করেছিলেন এবং সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যোয়াশের সব ভাইকে হত্যা করেছিলেন। তবে তিনি ছোট্ট যোয়াশকে হত্যা করতে পারেননি কারণ তার পিসিমা এবং পিসেমশাই তাকে খুবই সতর্কতার সঙ্গে লুকিয়ে রেখেছিল। তারা তাকে ঈশ্বরের ব্যবস্থাও শিখিয়েছিল। যোয়াশের সাত বছর বয়সে তার পিসেমশাই যিহোয়াদা, মহাযাজক হিসেবে তার অধিকারকে কাজে লাগিয়ে সেই দুষ্ট রানিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আর যোয়াশকে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন।—২ বংশাবলি ২২:১০–২৩:১৫.

যুবক যোয়াশ তার পিসেমশাই মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত রাজা হিসেবে উত্তমভাবে শাসন করেছিলেন কিন্তু এর পরেই তিনি প্রতিমা পূজা আরম্ভ করেন। ঈশ্বর যোয়াশকে তার ধর্মভ্রষ্টতার বিষয়ে সতর্ক করার জন্য যিহোয়াদার ছেলে সখরিয়কে তার কাছে পাঠিয়েছিলেন। যোয়াশ সখরিয়কে পাথর মেরে হত্যা করিয়েছিলেন। যে-পরিবারটির প্রতি তিনি এতটা ঋণী তাদের প্রতি কী জঘন্য এক আনুগত্যহীনতা!—২ বংশাবলি ২৪:১৭-২১.

বাইবেল বলে: “[সখরিয়ের] পিতা যিহোয়াদা রাজার প্রতি যে দয়া [“প্রেমপূর্ণ-দয়া,” NW] করিয়াছিলেন, তাহা স্মরণ না করিয়া যোয়াশ রাজা তাঁহার পুত্ত্রকে বধ করিলেন।” মারা যাওয়ার সময় সখরিয় বলেছিলেন: “সদাপ্রভু দৃষ্টিপাত করিয়া ইহার শোধ লইবেন।” সখরিয়ের কথা সত্য হয়েছিল কারণ যোয়াশ খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং তার নিজের দাসেরা তাকে হত্যা করেছিল।—২ বংশাবলি ২৪:১৭-২৫.

রাজা যোয়াশের মতো না হয়ে যারা এই পরামর্শকে মেনে চলে তাদের সকলের এক চমৎকার ভবিষ্যৎ হবে: “দয়া [“প্রেমপূর্ণ-দয়া,” NW] ও সত্য তোমাকে ত্যাগ না করুক; . . . তাহা করিলে অনুগ্রহ . . . পাইবে, ঈশ্বরের ও মনুষ্যের দৃষ্টিতে পাইবে।”—হিতোপদেশ ৩:৩, ৪.