এটা কি সুপরিকল্পিতভাবে সৃষ্ট?
আ্যগামা গিরগিটির লেজ
আ্যগামা গিরগিটি সহজেই অনুভূমিক তল থেকে একটা খাড়া দেওয়ালে লাফ দিতে পারে। কিন্তু সেই অনুভূমিক তল যদি পিচ্ছিল হয়, তাহলে এটার পা পিছলে যেতে পারে, তবুও এটা সফলভাবে দেওয়ালে এসে পড়ে। কীভাবে? রহস্যটা লুকিয়ে আছে গিরগিটির লেজে।
বিবেচনা করুন: যখন একটা আ্যগামা গিরগিটি, পিছলে যাবে না এমন কোনো অমসৃণ তল থেকে লাফ দেয়, তখন এটা প্রথমে নিজের শরীরকে সুস্থির করে এবং লেজকে নীচের দিকে রাখে। এটা তাকে তার নিজের শরীরের সঠিক কোণ বজায় রেখে লাফ দিতে সাহায্য করে। তবে তল যদি পিচ্ছিল হয়, তাহলে লাফানোর সময় গিরগিটির ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার এবং ভুল ভঙ্গিতে লাফ দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু, মাঝপথে এটা নিজের লেজকে ওপরের দিকে তুলে শরীরের ভঙ্গি ঠিক করে নেয়। এটা এক জটিল প্রক্রিয়া। বার্কেলেতে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা প্রকাশিত একটা রিপোর্ট বলে, “নিজের শরীরকে খাড়া রাখার জন্য গিরগিটিকে তার লেজ সঠিক দিকে সক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।” সেই অনুভূমিক তল যত পিচ্ছিল হয়, গিরগিটিকে ততটাই লেজ ওপরের দিকে ওঠাতে হয়, যাতে এটা নিরাপদে দেওয়ালে এসে পড়তে পারে।
আ্যগামা গিরগিটির লেজ হয়তো ইঞ্জিনিয়ারদেরকে অত্যাধুনিক রোবট-চালিত গাড়ি তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে, যা ভূমিকম্প বা কোনো বিপর্যয় থেকে রক্ষাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বার করার কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। গবেষক থমাস লিবি বলেন, “রোবটরা জীবজন্তুর মতো সাবলীলভাবে কাজ করতে পারে না, তাই রোবটকে সুস্থির রাখতে পারে এমন যেকোনো প্রযুক্তি হবে উন্নততর প্রযুক্তি।”
আপনি কী মনে করেন? আ্যগামা গিরগিটির লেজ কি ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে? নাকি এটাকে সুপরিকল্পিতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে? ◼ (g১৩-E ০২)