এটা কি সুপরিকল্পিতভাবে সৃষ্ট?
পিঁপড়ের ঘাড়
একটা সাধারণ পিঁপড়েকে নিজের শরীরের তুলনায় বহুগুণ ভারি জিনিস তুলতে দেখে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা অবাক হয়ে যায়। পিঁপড়ের এই ক্ষমতা বোঝার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়াররা পিঁপড়ের শারীরিক গঠন, বৈশিষ্ট্য ও কর্মপদ্ধতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের সাহায্যে মডেল তৈরি করেছিল। এই মডেলগুলো এক্স-রে ক্রস সেকশন ইমেজ-এর (মাইক্রো সিটি স্ক্যান) সাহায্যে তৈরি করা হয়েছিল আর এই মডেলগুলোর মধ্যে একটা পিঁপড়ের মতোই ক্ষমতা ছিল, যাতে এরা ভার বহন করতে পারে।
পিঁপড়ের শরীরের সবচেয়ে জটিল অংশ হল এদের ঘাড়। শরীরের এই অংশের সাহায্যেই এরা মুখে ধরে থাকা কোনো বস্তুর সম্পূর্ণ ওজন বহন করতে পারে। পিঁপড়ের দেহ ও মাথা আলাদা আলাদাভাবে শক্ত আবরণে আবৃত থাকে। ঠিক যেমন আঙুলের ফাঁকে আঙুল আটকে হাত মুঠো করা হয়, ঘাড়ের ভিতরে থাকা নরম কলা এই দুই অংশকে (দেহ ও মাথা) ঠিক তেমনভাবেই যুক্ত করে। গবেষকদের মধ্যে একজন বলেন, “পিঁপড়ের ঘাড় যেভাবে কাজ করে, সেটার জন্য এই নরম কলা এবং শক্ত আবরণের সংযোগস্থলের নকশা ও গঠন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নরম কলা ও শক্ত আবরণ অদ্ভুতভাবে সংযুক্ত হয়ে পিঁপড়ের ঘাড়কে আরও শক্তিশালী করে তোলে আর এর ফলে এরা শরীরের তুলনায় বহুগুণ ভারি জিনিসও তুলে নিয়ে যেতে পারে।” গবেষকরা মনে করে, পিঁপড়ের ঘাড় কীভাবে কাজ করে, তা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারলে তারা উন্নত মানের রোবোট তৈরি করতে পারবে।
আপনি কী মনে করেন? পিঁপড়ের ঘাড়ের জটিল নকশা যেভাবে এটাকে শক্তিশালী করে তুলেছে, তা কি ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে? না কি এটাকে সুপরিকল্পিতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে? ◼ (g16-E No. 3)