সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

প্রচ্ছদ বিষয় | অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করার বিভিন্ন উপায়

১. অতিরিক্ত আশা করবেন না

১. অতিরিক্ত আশা করবেন না

অনেক সময় আপনি মনে করেন, রাতারাতি আপনি নিজের জীবন পালটে ফেলবেন। আপনি হয়তো মনে মনে বলেন, ‘এই সপ্তাহে আমি ধূমপান করা ছেড়ে দেব, কাউকে আর গালিগালাজ করব না, রাত পর্যন্ত জেগে থাকব না, শরীরচর্চা করতে শুরু করব, স্বাস্থ্যকর খাবার খাব কিংবা দাদু-দিদাকে ফোন করব।’ কিন্তু মজার বিষয় হল, সব কটা লক্ষ্যের পিছনে ছোটার জন্য শত প্রচেষ্টা করার পরও আপনি দেখলেন, আপনি এখনও সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন!

বাইবেলের নীতি: “প্রজ্ঞাই নম্রদিগের সহচরী।”হিতোপদেশ ১১:২.

একজন নম্র বা বিনয়ী ব্যক্তি অতিরিক্ত আশা করেন না। তার সময়, শক্তি ও টাকাপয়সার যে একটা সীমা রয়েছে, তিনি তা স্বীকার করেন। আর তাই, রাতারাতি সব কিছু পরিবর্তন করার পরিবর্তে তিনি ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নেন।

সব কটা লক্ষ্যের পিছনে ছোটার জন্য শত প্রচেষ্টা করার পরও আপনি দেখলেন, আপনি এখনও সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন!

আপনি যা করতে পারেন

একটা বা দুটো অভ্যাসের উপর কাজ করুন। পরবর্তী ধাপগুলো সাহায্যকারী হতে পারে:

  1. দুটো লিস্ট তৈরি করুন। একটাতে ভালো অভ্যাসগুলো লিখুন, যেগুলো আপনি গড়ে তুলতে চান আর অন্যটাতে বদভ্যাসগুলো লিখুন, যেগুলো আপনি কাটিয়ে উঠতে চান। দু-একটা অভ্যাসের বিষয় না লিখে বরং যতগুলো আপনার মনে আসে, সেগুলো সব লিখুন।

  2. গুরুত্ব অনুযায়ী পর পর নম্বর দিন।

  3. প্রত্যেক লিস্ট থেকে দু-একটা অভ্যাস বেছে নিন এবং সেগুলোর উপর কাজ করুন। একবার দক্ষ হয়ে গেলে, পরবর্তী একটা বা দুটো অভ্যাসের উপর ঠিক একইভাবে কাজ করুন।

বদভ্যাসের পরিবর্তে, ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা অনেকটা টনিকের মতো কাজ করে। মনে করুন, আপনার বদভ্যাসের লিস্টে রয়েছে, অতিরিক্ত টিভি দেখা আর আপনার ভালো অভ্যাসের লিস্টে রয়েছে, প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো। আপনি এক কাজ করতে পারেন, ‘প্রতিদিন কাজ থেকে ঘরে ফিরেই টিভি না চালিয়ে বরং সেই সময় কোনো বন্ধু কিংবা আত্মীয়কে ফোন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’ (g16-E No. 4)