সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

সম্মানপূর্ণ কথাবার্তা হল সিমেন্ট-বালির মিশ্রণের মতো, যা আপনাদের বৈবাহিক বন্ধনকে টিকিয়ে রাখে

দম্পতিদের জন্য

৩: সম্মান

৩: সম্মান

এটার অর্থ

যে-সাথিরা পরস্পরকে সম্মান করে, তারা এমনকী মতভেদ দেখা দিলেও একে অন্যের জন্য চিন্তা করে। আপনার বিয়েতে উন্নতিসাধনের দশটা উপায় (ইংরেজি) নামের একটা বই বলে, “এই দম্পতিরা নিজ নিজ অবস্থানে অনড় না থেকে বরং যেকোনো মতভেদ নিয়ে কথা বলে। তারা তাদের সাথির মতামত সম্মানের সঙ্গে শোনে এবং দু-পক্ষই কিছুটা ছাড় দিয়ে সমস্যাটা মীমাংসা করে।”

বাইবেলের নীতি: “প্রেম . . . স্বার্থ চেষ্টা করে না।”—১ করিন্থীয় ১৩:৪, ৫.

“আমার স্ত্রীকে সম্মান করার অর্থ হল, আমি তার গুরুত্ব উপলব্ধি করি এবং আমি এমন কিছু করতে চাই না, যা তাকে আঘাত দেয় অথবা আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”—মাইকা।

যে-কারণে এটা গুরুত্বপূর্ণ

সম্মান না থাকলে সাথিদের মধ্যে কথাবার্তা সমালোচনাপূর্ণ, ব্যঙ্গাত্মক আর এমনকী অবজ্ঞাপূর্ণ মন্তব্যের দিকে মোড় নিতে শুরু করে, যেগুলোকে গবেষকরা বিবাহবিচ্ছেদের পূর্বলক্ষণ বলে মনে করেন।

“স্ত্রীর বিষয়ে আজেবাজে মন্তব্য করা, তাকে খোঁচা দিয়ে কথা বলা অথবা তার সম্বন্ধে রসিকতা করা কেবল তার আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেবে, আপনার উপর তার আস্থা নষ্ট হবে এবং আপনাদের বৈবাহিক বন্ধন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”—ব্রায়েন।

আপনি যা করতে পারেন

নিজেকে পরীক্ষা করুন

এক সপ্তাহের জন্য আপনার কথাবার্তা ও আচরণের প্রতি মনোযোগ দিন। এরপর নিজেকে জিজ্ঞেস করুন:

  • ‘আমি কত বার আমার সাথির সমালোচনা করেছি আর কত বার তার প্রশংসা করেছি?’

  • ‘সুনির্দিষ্ট কোন কোন উপায়ে আমি আমার সাথির প্রতি সম্মান দেখিয়েছি?’

আপনার সাথির সঙ্গে আলোচনা করুন

  • কোন ধরনের কাজ করলে ও কথা বললে আপনারা বুঝতে পারেন যে, আপনার প্রতি আপনার সাথির সম্মান রয়েছে?

  • কোন ধরনের কাজ করলে ও কথা বললে আপনাদের এমনটা মনে হয় যে, আপনার প্রতি আপনার সাথির সম্মান নেই?

পরামর্শ

  • তিনটে উপায় লিখুন, যেগুলো করা হলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার সাথি আপনাকে সম্মান করে। সাথিকেও একই বিষয় লিখতে বলুন। এরপর একে অন্যকে তা দিন এবং যে-দিকগুলো শনাক্ত করা হয়েছে, সেই দিকগুলোতে সম্মান দেখানোর চেষ্টা করুন।

  • আপনার সাথির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের যে-দিকগুলো আপনি পছন্দ করেন, সেগুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন। এরপর, আপনি সেগুলো কতটা উপলব্ধি করেন সেটা তাকে বলুন।

“আমার স্বামীকে সম্মান করার অর্থ হল, আমার আচরণের মাধ্যমে আমি দেখাই যে, আমি তার গুরুত্ব উপলব্ধি করি ও তাকে খুশি করতে চাই। এর জন্য সবসময় বড়ো কিছু করতে হবে, এমন নয়; মাঝে মাঝে ছোটো ছোটো কাজের মাধ্যমেও আন্তরিক সম্মান প্রকাশ করা যেতে পারে।”—মেগান।

শেষ কথা হল, আপনি সাথির প্রতি সম্মান দেখান, না কি দেখান না, সেটা আলোচ্য বিষয় নয়; গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল, আপনি যে আপনার সাথিকে সম্মান করেন, সেটা তিনি বুঝতে পারেন কি না।

বাইবেলের নীতি: “তোমরা . . . করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।”—কলসীয় ৩:১২.