হুলদার পরিশ্রম সার্থক হয়েছিল!
আসুন, আমরা কিছু বছর পিছনে গিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সনগির বেসার নামে একটা ছোটো দ্বীপে পৌঁছাই। সেখানে আমাদের তিন বোন সমুদ্রের ধারে কিছু কাজ করছেন। সেই দ্বীপে অনেকে জানে যে, আমাদের এই বোনেরা লোকদের বাইবেল বুঝতে সাহায্য করেন। কিন্তু, এখন তারা অন্য একটা কাজ করছে।
প্রথমে তারা সমুদ্রের গভীরে যান আর সেখান থেকে বড়ো বড়ো পাথর তুলে সমুদ্রের কিনারায় নিয়ে আসেন। সেগুলোর মধ্যে এমন অনেক পাথর ছিল, যেগুলো ফুটবলের মতো বড়ো। তারপর, তারা একটা কাঠের টুলের উপর বসে হাতুরি মেরে সেগুলোকে মুরগির ডিমের সাইজের মতো টুকরো টুকরো করেন। এরপর, তারা সেই টুকরোগুলো প্লাস্টিকের বালতিতে ভরেন এবং সিঁড়ি চড়ে তারা যেখানে থাকেন, সেখানে নিয়ে যান। তারপর, সেই পাথরগুলো বস্তায় ভরেন, যাতে সেগুলো ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া যায়। রাস্তা বানানোর কাজে এই পাথরগুলোর ব্যবহার করা হয়।
তাদের মধ্যে একজনের নাম ছিল হুলদা। বাকি দু-জনের তুলনায় এই বোন এই কাজে বেশি সময় দিতে পারছিলেন। পাথর ভেঙে তিনি যা টাকা রোজগার করেন, তা দিয়ে তিনি তার নিজের পরিবারের ভরণ-পোষণ জোগাতে পারেন। তবে, তিনি আরও কাজ করে কিছু টাকাপয়সা জমাতে চান। কেন? তিনি একটা ট্যাবলেট কিনতে চান, যাতে JW লাইব্রেরি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। বোন হুলদা জানেন, অ্যাপে যে-ভিডিও এবং অন্যান্য প্রকাশনা আছে, সেগুলো ব্যবহার করে তিনি ভালোভাবে প্রচার করতে পারবেন আর নিজেও ভালোভাবে বাইবেল অধ্যয়ন করতে পারবেন।
বোন হুলদা দেড় মাস ধরে প্রতিদিন সকালে দু-ঘণ্টা করে বেশি কাজ করেছিলেন। এই দেড় মাসে বোন যতটা পাথর ভেঙেছিলেন, সেগুলো দিয়ে একটা ছোটো ট্রাক ভরে গিয়েছিল। এভাবে বোন এত টাকা জমাতে পেরেছিলেন যে, তিনি একটা ট্যাবলেট কিনেছিলেন।
বোন হুলদা বলেন: “পাথর ভাঙতে ভাঙতে আমি অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। আমার শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হত। কিন্তু, আমি যখন আমার এই ট্যাবলেট থেকে অন্যদের প্রচার করতাম এবং মণ্ডলীর সভার জন্য ভালো করে প্রস্তুতি নিতাম, তখন আমি আমার সব ব্যথা ভুলে যেতাম।” বোন এও বলেন যে, এই ট্যাবলেট অতিমারি শুরু হওয়ার সময়ে তাকে অনেক সাহায্য করেছিল কারণ সেই সময়ে মণ্ডলীর সভা এবং প্রচার কাজ সমস্ত কিছু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই হচ্ছিল। আমরা খুবই আনন্দিত যে, বোন হুলদার পরিশ্রম সার্থক হয়েছিল।